Loading...

আমাদের সম্পর্কে


প্রতিটি শিশুর ভেতর যে অনন্ত প্রতিভা আর অসীম সম্ভাবনা রয়েছে, তার বহিঃপ্রকাশই শিক্ষা। নিজস্ব সংস্কৃতিকে ধারণ করে বিজ্ঞানমনস্কভাবে একটি শিশুর মানুষ হয়ে ওঠার মধ্যেই প্রকৃত শিক্ষা অন্তর্নিহিত। আনন্দের ভেতর দিয়ে শিশুর সৃজনশীলতা বিকাশ সাধনই শিক্ষার মূল লক্ষ্য।
আনন্দ, বিজ্ঞানমনস্কতা ও সংস্কৃতি আমাদের লাঙল। বিদ্যালয়ের শিশুবান্ধব সবুজ ভূমিতে, যত্ন ও ভালোবাসায় আমরা ফলাবো সম্ভাবনার সকল শস্য কণা। আর এ ব্রত নিয়েই তক্ষশিলা বিদ্যালয়ের পথচলা।

আমাদের বৈশিষ্ট্য:
• উৎসাহ প্রদান: শিক্ষার্থীকে ভালো কাজের জন্য উৎসাহিত করা।
• আত্মবিশ্বাস বাড়ানো: শিক্ষার্থীর দক্ষতার প্রতি বিশ্বাস জাগিয়ে তোলা।
• ভুল থেকে শেখার সুযোগ: ভুল করলে তা শুধরে নেওয়ার জন্য ইতিবাচক দিকনির্দেশনা দেওয়া।
• সম্পর্ক উন্নয়ন: শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক গড়ে তোলা।
• উন্নত মনোভাব গড়ে তোলা: শিক্ষার্থীর মধ্যে আশাবাদী ও উদ্দীপনামূলক মনোভাব তৈরি করা।

নাদিমুল ইসলাম
প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ

বিদ্যালয়ের সুযোগ-সুবিধা


১. শিশুর জন্যে সকলের মনে সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ জাগানোর মধ্য দিয়ে শিশুর বিকাশ নির্বিঘ্ন করা।

২. শিশুচিত্রে ভালোবাসার বোধ জাগ্রত করা- স্নেহ যত্নের প্রকাশের ভেতর দিয়ে শিশুর কায়মনের তৃষ্ণা ও অপূর্ণতা বোধ কেটে যায়, আত্মবিশ্বাস গড়ে ওঠে এবং গ্রহণ করবার সক্ষমতা তৈরি হয়।

৩. শিশুর ভুল করবার অধিকার নিশ্চিত করা, ভুল করলে ভালোবাসা দিয়েই তাকে ভুল থেকে শিক্ষা নিতে সাহায্য করা।

৪. সকল মানুষ, প্রকৃতি এবং প্রাণীর প্রতি সংবেদনশীলতা, মমত্ববোধ ও শ্রদ্ধাবোধ জাগানো।

৫. শিশুর মধ্যে জিজ্ঞাসা, পরমতসহিষ্ণুতা ও রসবোধ জাগানো।

৬. শিশুকে শ্রমনিষ্ঠ, উদযোগী হতে উৎসাহিত করা।

৭. শিশুকে নিয়মিত বই পড়তে উদ্বুদ্ধ করা।

৮. বাঙলা আর ইংলিশ দুই ভাষার পাকাপোক্ত ভিত গঠন।

৯. বিজ্ঞানমনস্ক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি।

১০. ইতিহাস-সচেতন মানস গঠন।

১১. শিশুকে সৃজনশীল (Imaginative) হতে সাহায্য করা - নিতান্ত বৈষয়িক (Calculative) বানানো নয়।

১২. পাঠ্যবই, বিদ্যালয়, প্রকৃতি ও সমাজ-সংস্কৃতি থেকে শেখা জ্ঞান, দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গি কেবল তত্ত্বীয় পর্যায়ে না রেখে জীবনে কাজে লাগানো অর্থাৎ শিক্ষা জীবনমুখী।

১৩. শিক্ষা আর সংস্কৃতির সংযোগ স্থাপন।

খেলার জায়গা

শিশু বিকাশে পর্যাপ্ত খেলার জায়গা রয়েছে।

স্বাস্থ্যকর পরিবেশ

খোলামেলা, আলো-বাতাস পূর্ণ শ্রেণিকক্ষ।

ইতিবাচক শিক্ষা

• উৎসাহ প্রদান • আত্মবিশ্বাস বাড়ানো • ভুল থেকে শেখার সুযোগ • সম্পর্ক উন্নয়ন: • উন্নত মনোভাব গড়ে তোলা

একজন শিক্ষক হয়ে উঠুন



১. বিদ্যালয়ের মূলনীতি সংবোধন ও আত্মস্থ করব যাতে প্রতিটি পদক্ষেপ ও কাজে-কর্মে লক্ষ্যাভিমুখী আদর্শিকতা স্পষ্ট হয়।

২. বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে সৌজন্য ও সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ করব যাতে করে সাংগঠনিক মনোবল, পেশাগত শৃঙ্খলা এবং পারিবারিক নৈকট্য বজায়/অটুট থাকে।

৩. শিশুদের প্রতি সংবেদনশীল থেকে সর্বাধিক গুরুত্বের সঙ্গে শিশুদের সুষ্ঠু মনোবিকাশের সহায়ক আচরণ করব। এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত বিরূপ আবেগীয় অবস্থা কোনোভাবেই যাতে শিশুদের ক্ষতিগ্রস্থ না করে, সে বিষয়ে শতভাগ সতর্ক থাকা বাঞ্ছনীয় এবং শিশু সাহচর্য উপভোগ করবার জন্যে নিজেকে প্রতিনিয়ত প্রস্তুত করব।

৪. বিদ্যালয়ে লোভ ও ভয়মুক্ত/নির্ভয় বিজ্ঞানমনস্ক পরিবেশ সৃষ্টিতে নিজের ব্যক্তিগত/সংকীর্ণ স্বার্থচিন্তা কিংবা অপবিশ্বাস যা শিশু মনে লোভ, ভীতি কিংবা ঘৃণার সৃষ্টি করে তা লালন, পোষণ ও প্রকাশ থেকে বিরত থাকব।

৫. মনে রাখবো, শিশু আদেশ, নির্দেশ ও পরামর্শের চেয়ে উৎসাহ ও অনুকরণের মাধ্যমেই বেশি গ্রহণ করে থাকে তাই শিক্ষক হিসেবে যেকোনো কিছু জানতে উৎসাহ প্রদর্শন করব এবং অনুকরণীয় আচরণ যেমন বই পড়া, নিয়মানুবর্তিতা, সহনশীলতা, যত্ন ও মমতা, যুক্তিবাদিতা, বিকল্প চিন্তা/সৃজনশীলতা, শিল্পানুরাগ এসবের চর্চা ও অভ্যাস করব।

৬. মাতৃভাষাকে সম্মান পূর্বক প্রমিত বাঙলার চর্চা করব প্রতিনিয়ত। জাতীয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন ও আপন সংস্কৃতির রস গ্রহণ ও অবগাহনে যত্নবান ও সর্বদা তৎপর থাকব।

৭. কারো (বিশেষ করে শিশুর) উপরে কখনই কোনো কিছু চাপিয়ে না দিয়ে তার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করব। মোট কথা কোনো বিষয়ে শিশুদের আগ্রহ তৈরি না করবার দায় নিজেকেই দেব, প্রয়োজনে কৌশল পরিবর্তন করব কিন্তু কখনো জোর করব না।

৮. শিশুদের অংশগ্রহণমূলক দায়িত্ববোধ তৈরির জন্যে নিজেদের মধ্যেও এর চর্চা অব্যাহত রাখব।

৯. কোনো শিশুকে শারীরিক/মানসিকভাবে আঘাত করব না। শিশু পীড়িত/অপমানিত বোধ করে এমন আচরণ/মন্তব্য (কটাক্ষ) করা থেকে বিরত থাকব। শিশুকে স্পর্শের মাধ্যমে স্নেহপূর্ণ আচরণে ভালোবাসা জানাবো। শিশুকে কোনো রকমের অনুশাসন থেকে বিরত থাকব।

১০. জাতিগত, বর্ণগত, গোষ্ঠীগত বা সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ায় এমন আচরণ বা মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকব, এমনকি বুদ্ধিমান বা নির্বোধ এমন বৈষম্যমূলক আখ্যা দেওয়া থেকেও বিরত থাকব।

১১. উন্মুক্ত, উদার, সর্বমানবতাবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে সকল প্রকার কূপমণ্ডূকতা ও মৌলবাদিতা পরিহার করে নিজেকে সৃজনশীল ও মননশীল সংস্কৃতিবান বিশ্বমানব হিসেবে নির্মাণে মনোযোগী হব।

শ্রেণিসমূহ


প্রতিটি শিশুর ভেতর যে অনন্ত প্রতিভা আর অসীম সম্ভাবনা রয়েছে,তার বহিঃপ্রকাশই শিক্ষা। আনন্দ,বিজ্ঞানমনস্কতা ও সংস্কৃতি আমাদের লাঙল। বিদ্যালয়ের সবুজ ভূমিতে, যত্ন ও ভালোবাসায় আমরা ফলাবো সম্ভাবনার সকল শস্য কণা। আর এ ব্রত নিয়েই ২০১০ সাল থেকে তক্ষশিলার পথচলা।

ঊষা শ্রেণি (প্রাক্-প্রাথমিক)
বয়স:
৩+ বছর
সময়:
সকাল ৯টা-দুপুর ১২টা
সংখ্যা:
২০ জন
আলো শ্রেণি (প্রাক্-প্রাথমিক)
বয়স:
৪+ বছর
সময়:
সকাল ৯টা-দুপুর ১২টা
সংখ্যা:
২০ জন
দীপ্ত শ্রেণি (প্রাক্-প্রাথমিক)
বয়স:
৫+ বছর
সময়:
সকাল ৯টা-দুপুর ১২টা
সংখ্যা:
২০ জন
প্রথম শ্রেণি (প্রজাপতি)
সময়:
সকাল ৮টা-দুপুর ১টা
সংখ্যা:
২০ জন
দ্বিতীয় শ্রেণি (রঙধনু)
সময়:
সকাল ৮টা-দুপুর ১টা
সংখ্যা:
২০ জন
তৃতীয় শ্রেণি (আলপনা)
সময়:
সকাল ৮টা-দুপুর ১টা
সংখ্যা:
২০ জন
চতুর্থ শ্রেণি (অরণ্য)
সময়:
সকাল ৮টা-দুপুর ১টা
সংখ্যা:
২০ জন
পঞ্চম শ্রেণি (প্রকৃতি)
সময়:
সকাল ৮টা-দুপুর ১টা
সংখ্যা:
২০ জন
ষষ্ঠ শ্রেণি ()
সময়:
সকাল ৮টা-দুপুর ১টা
সংখ্যা:
২০ জন
সপ্তম শ্রেণি (নক্ষত্র)
সময়:
সকাল ৮টা-দুপুর ১টা
সংখ্যা:
২০ জন
অষ্টম শ্রেণি (ছায়াপথ)
সময়:
সকাল ৮টা-দুপুর ১টা
সংখ্যা:
২০ জন
নবম শ্রেণি (প্রকৃতি)
সময়:
সকাল ৮টা-দুপুর ১টা
সংখ্যা:
২০ জন

সাক্ষাৎকার

আমাদের শিক্ষক


প্রতিটি শিশুর ভেতর যে অনন্ত প্রতিভা আর অসীম সম্ভাবনা রয়েছে, তার বহিঃপ্রকাশই শিক্ষা। নিজস্ব সংস্কৃতিকে ধারণ করে বিজ্ঞানমনস্কভাবে একটি শিশুর মানুষ হয়ে ওঠার মধ্যেই প্রকৃত শিক্ষা অন্তর্নিহিত। আনন্দের ভেতর দিয়ে শিশুর সৃজনশীলতা বিকাশ সাধনই শিক্ষার মূল লক্ষ্য। আনন্দ, বিজ্ঞানমনস্কতা ও সংস্কৃতি আমাদের লাঙল। বিদ্যালয়ের শিশুবান্ধব সবুজ ভূমিতে, যত্ন ও ভালোবাসায় আমরা ফলাবো সম্ভাবনার সকল শস্য কণা। আর এ ব্রত নিয়েই তক্ষশিলা বিদ্যালয়ের পথচলা।

নাদিমুল ইসলাম

প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ

রোখসানা ফেরদৌসী

প্রধান শিক্ষক

রাইশাদ নূর

শিক্ষক

গুণীজনদের মন্তব্য!


তক্ষশিলা বিদ্যালয়ে অনেক গুণী মানুষের পদধূলি পড়েছে। এমনই কয়েকজন গুণীজনের মন্তব্য।

স্থিরচিত্রে তক্ষশিলা বিদ্যালয়


সংস্কৃতি সমন্বিত শিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, বৈজ্ঞানিক ও সামাজিক কার্যক্রমের কয়েকটি স্থিরচিত্র